30.10.18
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে অসুস্থ মায়ের জন্য ওষুধ নিতে আসা এক মহিলা আবাসিক হোটেলে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
শনিবার (২৭ অক্টোবর) শহরের নতুন বাজারের শহীদ মিনারের সন্নিকটে ডিলাক্স আবাসিক হোটেলে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ হোটেল ম্যানেজারসহ ২ ধর্ষককে আটক করেছে।
জানা যায়, কুড়িগ্রামের উলিপুর থানার কলাকাটার চর গ্রামের মৃত গোলজার হোসেনের স্ত্রী কোকিলা বেগম (৫৮) দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসার রোগে ভুগছেন। তার ছেলে খলিলুর রহমান পার্বতীপুর উপজেলার বাঘাচোরা গ্রামে সপরিবারে বসবাস করেন।
খলিলুর তার অসুস্থ মায়ের চিকিৎসার জন্য বদরগঞ্জ থানাধীন রাধানগর গ্রামে জনৈক হোমিও ডাক্তারের কাছ থেকে ওষুধ এনে বাড়িতে রাখে এবং তার বড় বোন (৩০)কে ওষুধ নিয়ে যাবার জন্য উলিপুরে খবর দেয়।
পরে গত ২৭ অক্টোবর তার বড় বোন ও সঙ্গে তার চাচাতো ভাই বাহাদুর (৪০) সহ ট্রেনযোগে পার্বতীপুরে ভাইয়ের বাড়িতে আসে এবং ওষুধ নিয়ে বাড়িতে ফেরার জন্য সন্ধ্যায় পার্বতীপুর স্টেশনে আসে।
স্টেশনে এসে জানতে পায় কুড়িগ্রামগামী রমনা ট্রেনটি রাত ৩টায় যাবে। এসময় তারা ক্লান্তিবশত ডিলাক্স হোটেলের দ্বিতীয় তলার ১নং কক্ষটি ভাড়া নিয়ে বিশ্রাম করছিল।
এরপর রাত ১১টার দিকে হোটেল ম্যানেজার নুর ইসলাম ও তার সহযোগী মামুনুর রশিদ ১ নং কক্ষ থেকে বাহাদুরকে কৌশলে ডেকে নিচে নিয়ে এসে ম্যানেজারের কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখে এবং উপরতলার ১ নং কক্ষে অবস্থানকারী খলিলুরের বড় বোনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
পরদিন সকালে বাহাদুরসহ মহিলাকে হোটেল থেকে বের করে দিলে তারা খলিলুরের বাড়িতে গিয়ে ঘটনা খুলে বলে।
অবশেষে গত রবিবার রাতে গণধর্ষণের শিকার মহিলা নিজে বাদী হয়ে পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন।
পুলিশ রাতেই হোটেল ম্যানেজার দিনাজপুরের চিরিরবন্দর থানার কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত সালাউদ্দিনের পুত্র নুর ইসলাম (৩৫) ও চিরিরবন্দর থানার হরিহরপুর গ্রামের ইয়াকুব আলীর পুত্র মামুনুর রশিদ (২৫)কে আটক করেছে।গতকাল সোমবার সকালে ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মেডিকেলে ও আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
Labels: ধর্ষণ
0 comments:
Post a Comment
মূল্যবান মতামতের জন্য আপনাকে ধনবাদ ।