31.10.18
যশোরের মণিরামপুরের হোগলাডাঙ্গা ঋষিপল্লীতে তিন সন্তানের জননী এক গৃহবধূকে (৩৩) হাত-পা বেধে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে তিনজনকে অভিযুক্ত করে থানায় অভিযোগ করেছেন ওই নারী।
অভিযুক্তরা হলেন, হোগলাডাঙ্গা গ্রামের বুদো সরদারের ছেলে নাজিম উদ্দিন (৪০), কাজির গাঁ এলাকার মৃত কেদার আলী গাজীর ছেলে মোস্তফা (৪৫), ওই এলাকার মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে রেজাউল ইসলাম (৩৮)। সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ওই গৃহবধূ জানান, চলতি মাসের মাঝামাঝি এক রাতে তার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। রাতে ওই গৃহবধূ প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে উঠলে নাজিম, মোস্তফা ও রেজাউল তাকে ধরে টয়লেটের সামনে দড়ি দিয়ে হাত-পা বেধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে মোস্তফা ওই নারীর হাতে কামড়ে দেয়। বিষয়টি কাউকে জানালে অভিযুক্তরা ওই নারীকে আবারও ধর্ষণের হুমকি দেয়। ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ বলেন, ‘আমার স্বামী ভ্যান চালায়। ওরা আমাকে হুমকি দিয়ে গেছে, বিষয়টি জানাজানি হলে আমার স্বামীকে ধরে নিয়ে হত্যা করবে। এদিকে গত রোববার রাতে ওই পল্লীর আরেক নারীকে অচেতন করে ধর্ষণের টার্গেট নেয় নাজিম। রাত নয়টার দিকে গোপনে সেই নারীর বাড়িতে ঢুকে সে রান্না করা তরকারিতে ঘুমের ওষুধ দেয়। কিন্তু ওষুধ দেওয়ার আগেই রাতের খাবার সেরে ফেলেন পরিবারটি। টার্গেট অনুযায়ী রাত আড়াইটার দিকে বাড়ির বারান্দায় শুয়ে থাকা ওই নারীর মশারির ভিতরে ঢোকেন নাজিম। তখন ওই নারী টের পেয়ে গেলে নাজিম পালিয়ে যায়। পরে সকালে ভাত খেতে গিয়ে তরকারির রং বিবর্ণ দেখে ওই পরিবারের সন্দেহ হয়। স্থানীয়রা জানান, নাজিম ঋষিপল্লীতে সুদের কারবার করে। সেই সুবাদে ওই পল্লীতে তার অবাধ বিচরণ। রোববার সন্ধ্যা রাতে তারা নাজিমকে ওই নারীর স্বামীর দোকান বসে বাটখারা দিয়ে ওষুধ গুড়ো করতে দেখেন। সকালে ঘটনাটি জানাজানি হলে তারা নিশ্চিত হন নাজিমই তরকারিতে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়েছে। পরে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় একটি চক্র। এদিকে ঋষিপল্লীর অপর এক নারীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে নাজিমের ধর্ষণ চেষ্টার বিষয়টি জানাজানি হলে মুখ খোলেন গণধর্ষণের শিকার ওই নারী। তিনি সেই রাতের ঘটনা তার স্বামীসহ স্বজনদের জানান। পরে মঙ্গলবার সকালে মামলা করতে ওই নারীকে সাথে নিয়ে থানায় আসেন তার স্বামী। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিপদ ভঞ্জন পাড়ে বলেন,‘মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি আমি শুনেছি। ঘটনা জানার পর ওই নারীকে থানায় মামলা করতে পাঠিয়েছি। মণিরামপুর থানার ওসি সহিদুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে আসামি গ্রেফতার করতে এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
Labels: ধর্ষণ
0 comments:
Post a Comment
মূল্যবান মতামতের জন্য আপনাকে ধনবাদ ।