5.11.18
ফেনীর দাগনভূঞায় নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে এক ষোড়শীকে ধর্ষণের অভিযোগে শনিবার অভিযুক্ত রুবেল (২৩) ও তার সহযোগী সুমি আক্তারকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
দাগনভূঞা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ছালেহ আহাম্মদ পাঠান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ ও নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ আলীপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে রবিন গত ২৫ অক্টোবর একই এলাকার সফি উল্যাহর ছেলে রুবেল ও জয়নাল আবদীনের মেয়ে সুমি আক্তারের সহযোগিতায় ওই কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে মোবাইলে এর ভিডিও চিত্র ধারণ করে।
ধারণকৃত ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ছেড়ে দেয়। পরে ওই কিশোরীর সঙ্গে আবুধাবী প্রবাসী এক ব্যক্তির বিয়ে ঠিক হয়। তবে মেয়েটির বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলে ওই প্রবাসী আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের কথাবার্তাও হয় উভয় পরিবারে। ঘটনার দিন সুমিকেঘরে ডেকে নিয়ে মিষ্টির সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাওয়ানো হয়। এসময় তাকে বাগানে নিয়ে অচেতন অবস্থায় বখাটে রবিন ধর্ষণ করে। সুমি তার মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিও করে তা ফেসবুকে ওই কিশোরীর হবু স্বামীর কাছে পাঠায়। এতে করে ওই প্রবাসী কিশোরীটিকে বিয়ে করতে অপারগতা জানান।
পরে নির্যাতিতার মা গোলনাহার বেগম বাদী হয়ে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
ওসি ছালেহ আহাম্মদ পাঠান জানান, আসামি রুবেল ও সুমি আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।
Labels: ধর্ষণ
0 comments:
Post a Comment
মূল্যবান মতামতের জন্য আপনাকে ধনবাদ ।