1.11.18
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনকালীন সরকারের গঠনের দাবি উত্থান করতে যাচ্ছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আর সেটা হলে সেই মন্ত্রিসভায় ১০ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব চাইবে সদ্য গঠিত সরকারবিরোধী এই রাজনৈতিক জোট। বৃহস্পতিবার (০১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে এসব বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা হবে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও ১৪-দলীয় জোটের শীর্ষ ২২ নেতার সঙ্গে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ ১৬ নেতার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ঐক্যফ্রন্ট সূত্র বলছে, তাদের ঘোষিত ৭ দফা দাবির আলোকে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রশ্নে সংবিধান সংশোধনে সরকারি দল রাজি না হলে তারা তফসিলের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়ার দাবিতে জোর দেবে। সে ক্ষেত্রে সংবিধান সংশোধনের বিষয় নেই। এটা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। আর এটা মেনে নিলে নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রিসভা গঠনের বিষয়ে বিকল্প প্রস্তাব দেবে। সেটা হলো, মন্ত্রিসভার ১০ শতাংশ সদস্য যেহেতু টেকনোক্র্যাট কোটা থেকে নেওয়ার বিধান আছে, সেখানে ঐক্যফ্রন্ট থেকে নেওয়ার প্রস্তাব থাকবে।
ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের মতে, সংসদ ভেঙে দেওয়ার দাবি মেনে নিলে এবং মন্ত্রিসভায় ১০ শতাংশ ঐক্যফ্রন্টকে দেওয়া হলে নির্বাচনে সবার জন্য ‘প্রায় সমান সুযোগ’ সৃষ্টি হবে।
অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানা যায়, তারা সরকারের পদত্যাগ ও সংবিধান সংশোধনের মতো বিষয়গুলো মানবে না। আর খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি আদালতের এখতিয়ার বলে জানানো হবে। এমন কি সংসদ ভেঙে দেওয়ার দাবিও মানা হবে না।
তবে বিরোধী জোটের ছোটখাটো কিছু দাবি মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হতে পারে। যার মধ্যে সভা-সমাবেশে বাধা না দেওয়া, তফসিলের পর নতুন মামলা না দেওয়া ও বিরোধী দলের কর্মীদের গ্রেপ্তার না করা, নির্বাচনী প্রচারণায় বিরোধীদের বাধা না দেওয়া। সুনির্দিষ্ট সরকারি কোনো কর্মকর্তার বিষয়ে আপত্তি থাকলে তা আমলে নেওয়া ইত্যাদি। এমনকি নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য মন্ত্রী করার দাবি এলে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে টেকনোক্র্যাট ক্যাটাগরিতে তা বিবেচনায় নেওয়ারও সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে।
0 comments:
Post a Comment
মূল্যবান মতামতের জন্য আপনাকে ধনবাদ ।