1.11.18
স্বামীর অনুপস্থিতিতে স্ত্রীর সাথে প্রায়ই গল্প করতেন ফল ব্যবসায়ী শাকিল মৃধা। একদিন শাকিলকে স্ত্রীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন স্বামী বক্কার শেখ। এ ঘটনার রেশেই ক্ষুব্ধ হয়ে শাকিলকে খুন করেন বক্কার। আর এ খুনে সহযোগিতা করেন শিপন শেখ।
মঙ্গলবার বিকেলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কায়সার হামিদ এ ঘটনার বর্ণনা দেন।
তিনি জানান, ব্যবসায়ী শাকিল মৃধাকে খুনের পরিকল্পনার বিষয়টি শিপন শেখের সাথে শেয়ার করেন বক্কার। পরিকল্পনা অনুযায়ী শাকিলকে দিয়ে একটি মোটরসাইকেল ভাড়া করান বক্কার শেখ। সেই মোটরসাইকেল নিয়ে তারা বের হয়। পথে দেখা হয় শিপন শেখের সাথে। তিনিও মোটরসাইকেলে ওঠেন। ৩ জন মিলে আসেন বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের ঢোলজানি মোড়ে। সেখানে তারা দোকানে চা পান করেন।
শাকিলকে খুনের উদ্দেশ্যে বোয়ালমারী থেকে ঘুমের ট্যাবলেট কেনেন বক্কার শেখ। ঢোলজানি মোড়ের একটি দোকান থেকে ২টি জুস কিনে একটিতে সেই ট্যাবলেট মেশানো হয়। তারপর তারা চলে যান পোটরা গ্রামে।
তদন্ত কর্মকর্তা আরও জানান, সেখানে ঘুমের ট্যাবলেট মেশানো জুসটি শাকিলকে খাওয়ানো হয়। অন্যটি তারা দুজন পান করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী শাকিলকে এসময় হত্যার চেষ্টা করে। এতে ধস্তাধস্তিতে শাকিলের লুঙ্গি ও পায়ের সেন্ডেল খুলে যায়। এসময় শাকিলের দুই পা চেপে ধরে রাখেন শিপন আর বক্কার গামছা গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। লাশটি পানিতে মাথা চুবিয়ে রেখে প্লাটিনা ব্রান্ডের মোটরসাইকেলটি নিয়ে তারা চম্পট দেয়।
গত ২৮ আগস্ট সকালে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি থানা পুলিশ উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের পোটরা গ্রামে সুভাষ মন্ডলের ধানক্ষেত থেকে শাকিল মৃধার লাশ অজ্ঞাত হিসেবে উদ্ধার করে। লাশটি ময়না তদন্তের জন্য রাজবাড়ী মর্গে পাঠানো হয়। লাশের কোনো পরিচয় না পাওয়ায় আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম দাফন করে।
এ ব্যাপারে বালিয়াকান্দি থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বালিয়াকান্দি থানার এসআই কায়সার হামিদ তদন্ত শুরু করেন।
পরে বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম আজমল হুদার নির্দেশনায় থানার এসআই অঙ্কুর কুমার ভট্টাচার্য, এসআই দিপন কুমার মন্ডল ও এসআই হিরণ কুমার বিশ্বাসের সহযোগিতায় ২ মাস পর মামলার ২ আসামি ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর গ্রামের আকমল শেখের ছেলে বক্কার শেখ (২৫) ও বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের অভয়নগর গ্রামের আক্কাস শেখের ছেলে শিপন শেখকে (২৫) গ্রেফতার করে।
মঙ্গলবার রাজবাড়ী আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু হাসান খায়রুল্লাহর কাছে আসামিরা ১৬৪ ধারায় হত্যার ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ লোমহর্ষক হত্যার বর্ণনা দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে এসআই কায়সার হামিদ আরও জানান, ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর গ্রামের আবজাল মৃধার ছেলে ফল ব্যবসায়ী শাকিল মৃধা (১৬) একই উপজেলার ময়না ইউনিয়নের ইসাখালী গ্রামের মালেক শেখের ছেলে আজিজার শেখের প্লাটিনা মোটরসাইকেলটি ভাড়া করেন। পরে বক্কার শেখ ও শিপন শেখ পরিকল্পিতভাবে শাকিলকে হত্যা করেন। মোটরসাইকেলটিও উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি জানান, ব্যবসায়ী শাকিল মৃধাকে খুনের পরিকল্পনার বিষয়টি শিপন শেখের সাথে শেয়ার করেন বক্কার। পরিকল্পনা অনুযায়ী শাকিলকে দিয়ে একটি মোটরসাইকেল ভাড়া করান বক্কার শেখ। সেই মোটরসাইকেল নিয়ে তারা বের হয়। পথে দেখা হয় শিপন শেখের সাথে। তিনিও মোটরসাইকেলে ওঠেন। ৩ জন মিলে আসেন বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের ঢোলজানি মোড়ে। সেখানে তারা দোকানে চা পান করেন।
শাকিলকে খুনের উদ্দেশ্যে বোয়ালমারী থেকে ঘুমের ট্যাবলেট কেনেন বক্কার শেখ। ঢোলজানি মোড়ের একটি দোকান থেকে ২টি জুস কিনে একটিতে সেই ট্যাবলেট মেশানো হয়। তারপর তারা চলে যান পোটরা গ্রামে।
তদন্ত কর্মকর্তা আরও জানান, সেখানে ঘুমের ট্যাবলেট মেশানো জুসটি শাকিলকে খাওয়ানো হয়। অন্যটি তারা দুজন পান করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী শাকিলকে এসময় হত্যার চেষ্টা করে। এতে ধস্তাধস্তিতে শাকিলের লুঙ্গি ও পায়ের সেন্ডেল খুলে যায়। এসময় শাকিলের দুই পা চেপে ধরে রাখেন শিপন আর বক্কার গামছা গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। লাশটি পানিতে মাথা চুবিয়ে রেখে প্লাটিনা ব্রান্ডের মোটরসাইকেলটি নিয়ে তারা চম্পট দেয়।
গত ২৮ আগস্ট সকালে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি থানা পুলিশ উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের পোটরা গ্রামে সুভাষ মন্ডলের ধানক্ষেত থেকে শাকিল মৃধার লাশ অজ্ঞাত হিসেবে উদ্ধার করে। লাশটি ময়না তদন্তের জন্য রাজবাড়ী মর্গে পাঠানো হয়। লাশের কোনো পরিচয় না পাওয়ায় আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম দাফন করে।
এ ব্যাপারে বালিয়াকান্দি থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বালিয়াকান্দি থানার এসআই কায়সার হামিদ তদন্ত শুরু করেন।
পরে বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম আজমল হুদার নির্দেশনায় থানার এসআই অঙ্কুর কুমার ভট্টাচার্য, এসআই দিপন কুমার মন্ডল ও এসআই হিরণ কুমার বিশ্বাসের সহযোগিতায় ২ মাস পর মামলার ২ আসামি ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর গ্রামের আকমল শেখের ছেলে বক্কার শেখ (২৫) ও বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের অভয়নগর গ্রামের আক্কাস শেখের ছেলে শিপন শেখকে (২৫) গ্রেফতার করে।
মঙ্গলবার রাজবাড়ী আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু হাসান খায়রুল্লাহর কাছে আসামিরা ১৬৪ ধারায় হত্যার ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ লোমহর্ষক হত্যার বর্ণনা দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে এসআই কায়সার হামিদ আরও জানান, ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর গ্রামের আবজাল মৃধার ছেলে ফল ব্যবসায়ী শাকিল মৃধা (১৬) একই উপজেলার ময়না ইউনিয়নের ইসাখালী গ্রামের মালেক শেখের ছেলে আজিজার শেখের প্লাটিনা মোটরসাইকেলটি ভাড়া করেন। পরে বক্কার শেখ ও শিপন শেখ পরিকল্পিতভাবে শাকিলকে হত্যা করেন। মোটরসাইকেলটিও উদ্ধার করা হয়েছে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment
মূল্যবান মতামতের জন্য আপনাকে ধনবাদ ।