4.12.18
ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় এক নারীকে অপহরণের পর গণধর্ষণের অভিযোগে ছয় যুবককে আটক করেছে থানা পুলিশ। গতকাল সোমবার (৩ ডিসেম্বর) রাত ৪টার দিকে আশুলিয়ার জামগড়া সোনামিয়া মার্কেট এলাকা থেকে রবিউল শেখ, রুবেল রানা, সাগর হোসেন, রানা সরকার, জাহিদুল ইসলাম ও আজাদ হোসেনকে আটক করা হয়। এসময় ওই নারী ও তার স্বামীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আটককৃতরা সকলেই আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার চিহ্নিত বখাটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ধর্ষণের শিকার ওই নারীর স্বামী হৃদয় হাসান বলেন, আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজনেই স্থানীয় একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করি। গত দুই মাস হলো আমরা পারিবারিক ভাবে বিয়ে করেছি। গত রোববার রাত ৮টার দিকে কাজ শেষে বগাবাড়ি এলাকায় আমাদের ভাড়াবাড়িতে ফেরার পথে জামগড়া সোনামিয়া মার্কেট এলাকায় আমার ভাই আব্দুর রহমানের বাসায় আমরা স্বামী-স্ত্রী দেখা করতে যাই। ভাই ও ভাবীর সাথে কথা বলে রাত ১০টার দিকে আমরা বাসায় ফেরার পথে রাস্তায় ওৎ পেতে থাকা ৭/৮ জন বখাটে কাবিননামা দেখার কথা বলে আমাদেরকে টেনেহেচড়ে জনশূন্য একটি বালুরমাঠে নিয়ে যায়।
হৃদয় হাসান আরও বলেন, বালুর মাঠে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে আমাদেরকে তারা পাশের একটি বাড়িতে নিয়ে আমাকে অন্য একটি কক্ষে আটকে রেখে বিশ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং বেধড়ক মারধোর করতে থাকে। টাকা দিতে দেরি হলে আমাদের হত্যা করে লাশ বস্তাবন্দি করে দূরে নিয়ে ফেলে দিবে বলে হুমকি দিতে থাকে। এসময় পাশের রুমে আটকে রাখা আমার স্ত্রীকে তারা পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এদিকে অপহরণকারীরা আমার বাবা-মা কে ফোন করে মুক্তিপণের ২০ হাজার টাকা আনার জন্য আমাকে বার বার তাগিত দিতে থাকে। পরে আমি আমার বাবা-মাকে ফোন করে বিষয়টি জানাই এবং জীবন বাঁচাতে টাকা নিয়ে দ্রুত আসতে বলি।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ ফজিকুল ইসলাম জানান, রাতে একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক কৌশল অবলম্বন করে এএসআই সাইদুর রহমান, কনেস্টেবল ইসমাইল হোসেন ও শফিকুল ইসলাম কে সঙ্গে নিয়ে অপহরণকারীদের দাবিকৃত টাকা দেয়ার কথা বলে ঘটনাস্থলে যাই। এসময় টাকা নিতে এলে দুই যুবককে হাতে-নাতে আটক করি। আটককৃতদের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বালুর মাঠ নামক নির্জন এলাকার একটি বাড়ি থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই নারী ও তাঁর স্বামীকে উদ্ধার করা হয়। পরে গতকাল সোমবার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনায় জড়িত আরও চার যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে আসি।
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, ধর্ষণের শিকার নারীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও জড়িত বাকী আসামীদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Labels: গণধর্ষণ
1 comments:
it can seek theme... its vary bad
Post a Comment
মূল্যবান মতামতের জন্য আপনাকে ধনবাদ ।