16.11.18
ঢাকার অদূরে সাভারের কলমা এলাকার এক কিশোরীকে (১৫) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ নিয়ে গণধর্ষণের পর যৌনপল্লীতে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হলে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অভিযান চালিয়ে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তার করে।
গণধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী জানায়, গত ২১ অক্টোবর ওই কিশোরীকে দক্ষিন কলমার এক বখাটে যুবক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ এলাকায় নিয়ে যায়। পরে সেখানে কয়েকজন ব্যক্তি মিলে তাকে গনধর্ষণ করে। পরে ওই কিশোরীকে বখাটেরা গোয়ালন্দ-দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেয়।
কিশোরীর পিতা সুজন মিয়া বলেন, গত ২৩ অক্টোবর আমার মেয়েকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর কোথাও না পেয়ে সাভার মডেল থানায় নিখোঁজের একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করি। তিনি আরও বলেন, কলমা এলাকার এক প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে মাঝে মাঝে ভিক্ষা করতে যেতেন। ওই ভিক্ষুক আমার নিখোঁজ কিশোরী মেয়েকে সেখানে দেখতে পেয়ে তার সন্ধান আমাদের জানায়। আমি ১০দিন পর আমার মেয়ের সন্ধান পাই দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে। পরে মেয়ের সন্ধান পেয়ে গত ৩ নভেম্বর রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ থানাধীন দৌলতদিয়া ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল গনি ও মুক্তি মহিলা সমিতির মাধ্যমে যৌনপল্লী থেকে আমার কিশোরী মায়েকে উদ্ধার করি।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা অর্পব দাস জানান, গত ১১ নভেম্বর ওই কিশোরীর পিতা সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) নির্দেশে গণধর্ষণের মামলা নথিভুক্ত করা হয়। মামলায় দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করা হয়েছে। গণধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ জানান, এই ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে ডিবি পুলিশের এসআই আব্দুল গনির নেতৃত্বে ডিবির টিম কাজ করে যাচ্ছে। ইতি মধ্যে কলমা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গণধর্ষণ মামলাটির প্রধান আসামী আহাম্মদ কে গ্রেপ্তার করে সাভার মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা।
Labels: গণধর্ষণ
0 comments:
Post a Comment
মূল্যবান মতামতের জন্য আপনাকে ধনবাদ ।