1.11.18
কেরল সাক্ষরতা মিশন কর্তৃপক্ষের পরীক্ষায় ৯৮ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করলেন ৯৬ বছরের বৃদ্ধা। শুধু পাশ করাই নয়, তিনি প্রথম হলেন সবার মধ্যে।
আলাপ্পুঝার জেলার মাত্তম গ্রামের বাসিন্দা কারতিয়ানিয়াম্মা কৃষ্ণপিল্লাই। তিনি কোনও দিন স্কুলে যাননি। বাড়ির আশপাশের মন্দিরগুলিতে সাফাইকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সাক্ষরতা মিশনের ‘অক্ষরালক্ষম’ প্রকল্পের মাধ্যমে পড়াশোনা শুরু করেন। তারই চতুর্থ শ্রেণির সমতুল্য পরীক্ষায় প্রথম হলেন কারতিয়ানিয়াম্মা।
৪৩,৩৩০ জন ছাত্র-ছাত্রী চতুর্থ, সপ্তম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির সমতূল্য পরীক্ষা দেয়। ৪২,৯৩৩ জন পাশ করেছেন।
‘‘আমি ভাল নম্বর পেয়ে খুশি। আমি এখন জানি কীভাবে লিখতে, পড়তে ও অঙ্ক কষতে হয়। আমাদের সময়ে মহিলারা স্কুলে যেত না। যখন ২০১৬ সালে আমার ছোট মেয়ে আম্মিনিয়াম্মা দশম শ্রেণির পরীক্ষায় পাশ করে, তখনই আমি এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিই,’’ বলেন কারতিয়ানিয়াম্মা কৃষ্ণপিল্লাই।
তাঁর দুই নাতনি, ১২ বছরের অপর্ণা ও ৯ বছরের অঞ্জনা, তাঁকে পড়াশোনায় সাহায্য করেছে।
‘‘নব্য-সাক্ষরদের মধ্যে তিনিই প্রথম হয়েছেন। আমরা তাঁর সাফল্যে গর্বিত। উনি স্বেচ্ছায় পড়াশোনা শুরু করেছিলেন।’’ সাক্ষরতা মিশন কর্তৃপক্ষের অধিকর্তা পিএস শ্রীলতা বলেন।
২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন ‘অক্ষরলক্ষম’ প্রকল্প শুরু হয়। ১০০ শতাংশ সাক্ষরতার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতেই এই প্রকল্পের পরিকল্পনা। প্রথম পর্যায়ে ৪৭ হাজারের বেশি পড়ুয়া ক্লাস শুরু করে। ২,০৮৬টি শিক্ষাকেন্দ্র থেকে তাঁদের পড়ানো হয়।
Labels: শিক্ষা
0 comments:
Post a Comment
মূল্যবান মতামতের জন্য আপনাকে ধনবাদ ।