3.11.18
সচরাচর সৌদি রাজপরিবার ও যুবরাজকে নিয়ে সমালোচনা করার সাহস কেউ দেখান না। কিন্তু দেশটির সাংবাদিক জামাল খাশোগি দেখিয়েছিলেন। আর এই সাহস দেখিয়ে নিজেকে বাঁচাতে পালিয়ে গিয়ে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে বছরখানেক ধরে বসবাস। কিন্তু খাশোগির সমালোচনা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি যুবরাজ। ফলে তাকে শাস্তি পেতেই হবে যেটা যে কোনো সময় যে কোনো জায়গায়। মওকা পাওয়া গেল গত ২ অক্টোবর। সেদিন খাশোগি তুরস্কে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেটে কাগজপত্র নিতে ঢুকবেন। তা আগেই জানা ছিল সৌদি রাজদরবারের। আর যায় কই।
রাজপরিবারের গুপ্তঘাতকরা ওতপেতে থাকে কনস্যুলেটের ভিতরে-বাইরে। সুন্দর পরিকল্পনায় তাকে হত্যা করা হয়। কিন্তু সেটা শেষ পর্যন্ত ‘হজম’ করতে পারল না সৌদি রাজপরিবার। বিশেষ করে এই হত্যার পেছনে যুবরাজ সালমান জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। মধ্যপ্রাচ্যে তিনিই এখন সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি। কিন্তু এই পাপে এখন তার জন্য প্রায়শ্চিত্ত অপেক্ষা করছে।
সারা বিশ্বে ধিক্কার ওঠার পর খবর পাওয়া যাচ্ছে সৌদি আরবের রাজপরিবারের একজন প্রভাবশালী সদস্য এবং বাদশাহ সালমানের এক ভাই প্রিন্স আহমেদ বিন আবদুল আজিজ ব্রিটেনে স্বেচ্ছা-নির্বাসন কাটিয়ে স্বদেশে ফিরেছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, তার প্রত্যাবর্তন গুরুত্বপূর্ণ, কারণ অনেকে মনে করেন তিনি যুবরাজ মুহাম্মদের জায়গা নিতে পারেন। প্রিন্স আবদুল আজিজ এতদিন স্বেচ্ছা-নির্বাসনে লন্ডনে অবস্থান করছিলেন। পশ্চিমা বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করেন, সৌদি রাজপরিবারে তিনি এমন একজন ব্যক্তি যিনি সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদের জায়গা নিতে পারেন। রিয়াদে তার প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে সৌদি কর্তৃপক্ষ সরকারিভাবে কিছু নিশ্চিত করেনি। এরকম কোনো নিশ্চয়তা না-ও আসতে পারে। কী শর্তে তিনি ফিরেছেন তাও স্পষ্ট নয়, তবে মনে করা হচ্ছে, তার নিরাপত্তার ুব্যাপারে নিশ্চয়তা পেয়েই তিনি ফিরেছেন।
কিন্তু বিবিসির সংবাদদাতা ফ্রাংক গার্ডনার বলছেন, এ খবরটি সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে সৌদি রাজপরিবারের সূত্র থেকেই এবং এ থেকে আভাস পাওয়া যায় ওই অঞ্চলে এখন প্রিন্স সালমানের ভবিষ্যৎ নিয়ে ব্যক্তিগত স্তরে ব্যাপক বিতর্ক চলছে।
0 comments:
Post a Comment
মূল্যবান মতামতের জন্য আপনাকে ধনবাদ ।