পুলিশ আব্দুল হালিমকে গ্রেপ্তার করেছে। গত শনিবার দুপুরে ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি এতদিন গোপন ছিল। কিন্তু ধর্ষণের শিকার তিন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে ধর্ষণের বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়। এ কারণে এলাকার লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং গতকাল সকালে তাকে আটকের পর থানায় হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার এক শিশুর মা আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে বদরগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, তিন শিক্ষার্থী এলাকার এহিয়াগঞ্জ মাদরাসার শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে দু’জন পঞ্চম শ্রেণি ও একজন ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তারা ওইদিন মাদরাসায় গিয়ে টিফিনের বিরতিতে পাশের একটি নার্সারিতে ফুল আনতে যায়। কিন্তু তাদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে একটি আখ ক্ষেতে ডেকে নেয় নার্সারি মালিক আব্দুল হালিম। এরপর সে ওই তিন শিশুকে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে এবং ঘটনা কাউকে না জানাতে শিক্ষার্থীদের কড়া ভাষায় শাসায়। ফলে শিক্ষার্থীরা ভয়ে ঘটনার কথা কাউকে বলার সাহস পায়নি। তবে, তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি অভিভাবকরা জানতে পারেন। পরে বিষয়টি এলাকার মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে এবং এলাকার লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। গতকাল সকালে বিক্ষুব্ধ লোকজন আব্দুল হালিমকে আটকের পর থানায় হস্তান্তর করে। দুপুরে ধর্ষণের শিকার এক শিশুর মা আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখায়। বদরগঞ্জ থানার ওসি আনিছুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আব্দুল হালিমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে বলে তিনি জানান।