1.11.18
স্কুলছাত্রীদের যৌন নির্যাতন ও ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে ১০৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে পাকিস্তানের আদালত। এক ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
১০৫ বছরের সাজার পাশাপাশি তাকে ১৪ লাখ টাকাও জরিমানা করা হয়। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের পেশোয়ারে।
স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ, পাকিস্তানের পেশোয়ারের একটি বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক আতাউল্লা মারওয়াত গত জুলাইতে এক নাবালককে ধর্ষণ ও যৌন হেনস্তা করে বলে অভিযোগ আনা হয়।
জানা যায়, শুধু নাবালকই নয়, সেই প্রধান শিক্ষকের বিকৃত যৌন লালসার শিকার আরো খুদে ছাত্রীরা। এমনকি, আক্রান্ত কয়েকজন শিক্ষিকাও। স্কুল চত্বরে চলত ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন। কখনও কখনও আবার ছাত্রী ও শিক্ষিকাদের তুলে নিয়ে যেত আতাউল্লা। সময় সুযোগ মতো ধর্ষণের ভিডিও তুলে রাখতেন তিনি। পরে সেই ভিডিও দেখিয়ে চলত ব্ল্যাকমেল। নির্যাতিতাদের কেউ যদি সামান্য কোনো শব্দও করতেন, তাহলে ওই ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখাত প্রিন্সিপাল।
লোকলজ্জার ভয়ে এসব কথা কাউকেই ফাঁস করত না শিক্ষিকারা। তবে খুদে পড়ুয়ারা মাঝেমধ্যেই কান্নাকাটি করত। প্রধান শিক্ষককের ফতোয়া ছিল, কোনোভাবে অভিভাবক বা অন্য কাউকে এই যৌন নির্যাতনের কথা জেনে যান, তাহলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। এভাবেই চলে আসছিল।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, স্কুলেরই তিনটি ঘর প্রায় নিজের দখল রেখেই অপকর্ম চালাত প্রধান শিক্ষক। ধর্ষণের ভিডিও তুলে পেনড্রাইভ ও কম্পিউটারে রেখে দিত ব্ল্যাকমেলিংয়ের জন্য। তল্লাশিতে নেমে সংশ্লিষ্ট ওই তিনটি ঘর থেকে ২৬টি ভিডিও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ধর্ষণের ভিডিও প্রস্তুত কাজে ব্যবহৃত একটি কম্পিউটার, পেনড্রাইভ ও মেমোরি কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
Labels: ধর্ষণ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment
মূল্যবান মতামতের জন্য আপনাকে ধনবাদ ।