Newspaper

Online Income

অনলাইনে আয়-রোজগার করবার ১০টি উপায়

Cricket Live Score
Yahoo TV

5.12.18

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব এলাকায় প্রতিবন্ধী নারী ধর্ষণের প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে ভূঞাপুর ২নং পুনর্বাসন এলাকা থেকে আলম খন্দকার বিশুকে (৪৫) গ্রেফতার করা হয়। সে একই উপজেলার মৃত ইন্নছ আলীর ছেলে।

বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ মোশারফ হোসেন বলেন, গ্রেফতারকৃত ধর্ষক আলম খন্দকার বিশুকে আদালতে নেওয়া হলে সে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামসুল আলমের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। এরপর তাকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

ওসি আরো জানান, ২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট রাত ১২টার দিকে টাঙ্গাইল থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি লোকাল বাস কিছু যাত্রী নিয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড় বাসস্ট্যান্ডের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক নারী ছাড়া সব যাত্রী তাদের গন্তব্যে নেমে যান। এই সুযোগে ওই নারীকে একা পেয়ে বাসের ড্রাইভার, সুপারভাইজার ও হেলপার মিলে গণধর্ষণ করে। বাসের সুপারভাইজার ও হেলপারকে আটক করা হলেও মূল আসামি আলম খন্দকার বিশু এতদিন পলাতক ছিল। ধর্ষণের শিকার মেয়েটির বাড়ি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কুড়িপুল গ্রামে।

থানা পুলিশ জানায়, উপজেলার দক্ষিণ পাথালিয়া গ্রামের এনামুল হকের বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি মেয়ে (১৪) আনিকা আক্তার যুথি ঝাওয়াইল বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ালেখা করে। স্কুলে যাতায়াতের পথে একই গ্রামের ইব্রাহিম শেখের পুত্র আবুবকর সিদ্দীক বিভিন্ন সময় ফুসলিয়ে যুথিকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। বাক প্রতিবন্ধি হওয়ায় যুথি বাড়িতে এসে পরিবারের কাছে সব খুলে বলতে পারেনি। এ অবস্থায় কয়েকমাস পর যুথির মধ্যে শারীরিক পরিবর্তন দেখা দিলে বিষয়টি খোলাসা হয়।
হয়।

গোপালপুর থানার ওসি হাসান আল মামুন জানান, আসামি পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।



4.12.18

ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় এক নারীকে অপহরণের পর গণধর্ষণের অভিযোগে ছয় যুবককে আটক করেছে থানা পুলিশ। গতকাল সোমবার (৩ ডিসেম্বর) রাত ৪টার দিকে আশুলিয়ার জামগড়া সোনামিয়া মার্কেট এলাকা থেকে রবিউল শেখ, রুবেল রানা, সাগর হোসেন, রানা সরকার, জাহিদুল ইসলাম ও আজাদ হোসেনকে আটক করা হয়। এসময় ওই নারী ও তার স্বামীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আটককৃতরা সকলেই আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার চিহ্নিত বখাটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ধর্ষণের শিকার ওই নারীর স্বামী হৃদয় হাসান বলেন, আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজনেই স্থানীয় একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করি। গত দুই মাস হলো আমরা পারিবারিক ভাবে বিয়ে করেছি। গত রোববার রাত ৮টার দিকে কাজ শেষে বগাবাড়ি এলাকায় আমাদের ভাড়াবাড়িতে ফেরার পথে জামগড়া সোনামিয়া মার্কেট এলাকায় আমার ভাই আব্দুর রহমানের বাসায় আমরা স্বামী-স্ত্রী দেখা করতে যাই। ভাই ও ভাবীর সাথে কথা বলে রাত ১০টার দিকে আমরা বাসায় ফেরার পথে রাস্তায় ওৎ পেতে থাকা ৭/৮ জন বখাটে কাবিননামা দেখার কথা বলে আমাদেরকে টেনেহেচড়ে জনশূন্য একটি বালুরমাঠে নিয়ে যায়।

হৃদয় হাসান আরও বলেন, বালুর মাঠে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে আমাদেরকে তারা পাশের একটি বাড়িতে নিয়ে আমাকে অন্য একটি কক্ষে আটকে রেখে বিশ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং বেধড়ক মারধোর করতে থাকে। টাকা দিতে দেরি হলে আমাদের হত্যা করে লাশ বস্তাবন্দি করে দূরে নিয়ে ফেলে দিবে বলে হুমকি দিতে থাকে। এসময় পাশের রুমে আটকে রাখা আমার স্ত্রীকে তারা পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এদিকে অপহরণকারীরা আমার বাবা-মা কে ফোন করে মুক্তিপণের ২০ হাজার টাকা আনার জন্য আমাকে বার বার তাগিত দিতে থাকে। পরে আমি আমার বাবা-মাকে ফোন করে বিষয়টি জানাই এবং জীবন বাঁচাতে টাকা নিয়ে দ্রুত আসতে বলি।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ ফজিকুল ইসলাম জানান, রাতে একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক কৌশল অবলম্বন করে এএসআই সাইদুর রহমান, কনেস্টেবল ইসমাইল হোসেন ও শফিকুল ইসলাম কে সঙ্গে নিয়ে অপহরণকারীদের দাবিকৃত টাকা দেয়ার কথা বলে ঘটনাস্থলে যাই। এসময় টাকা নিতে এলে দুই যুবককে হাতে-নাতে আটক করি। আটককৃতদের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বালুর মাঠ নামক নির্জন এলাকার একটি বাড়ি থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই নারী ও তাঁর স্বামীকে উদ্ধার করা হয়। পরে গতকাল সোমবার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনায় জড়িত আরও চার যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে আসি।

এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, ধর্ষণের শিকার নারীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও জড়িত বাকী আসামীদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

1.12.18

বন্ধুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন এক তরুণী। পরে সেই অভিযোগ তুলতে থানায় যান তিনি। সেখানে পুলিশের এক কর্মকর্তার কাছে তিনি ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ তুলেছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বুধবার কোঙ্গন থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) রোহন গোঞ্জারির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন ওই তরুণী পুলিশের এসআই রোহন গোঞ্জারি ভারতের মহারাষ্ট্রের ঠানের কোঙ্গন থানায় কর্মরত।
তরুণীর দাবি, তার বন্ধুকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে পুলিশের ওই এসআই রাজনোলি বাইপাসের ধারে তাকে ডেকেছিলেন। সেখানে দেখা করার পর তরুণীকে কল্যাণের একটি গেস্ট হাউসে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন।
গত বুধবার কোঙ্গন থানায় ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (ধর্ষণ) এবং ৫০৬ (অপরাধমূলক উদ্দেশ্য) ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। তবে এখনো পুলিশের ওই কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়নি।

রংপুরের পীরগঞ্জে এক জেএসসি পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণের ভিডিও ধারণের পর তা ফেসবুকে ভাইরাল করার অভিযোগে দুই তরুণকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন আবু রায়হান ও কামরুল হাসান। তাদের বাড়ি টুকুরিয়া ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামে।

পুলিশ জানায়, তারা ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়েছে। এ অমানবিক ঘটনা মানুষের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। আমরা দু’জনকে আটক করেছি। তিনি আরো বলেন, মেয়েটির বাবা-মা ঢাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। সে বাড়িতে থাকে। ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যার পর বাসা থেকে বের হয়ে পাশের এক আত্মীয়ের বাসায় যাচ্ছিল। এ সময় একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আবু রায়হান, আব্দুর রউফের ছেলে কামরুজ্জামান ও মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে ফুলবাবু মেয়েটিকে অপহরণপূর্বক ধর্ষণ ও তার ভিডিও ধারণ করে।
ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলা হবে এবং ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। কিন্তু ধর্ষণের ভিডিও বিভিন্ন মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে পীরগঞ্জ উপজেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। পীরগঞ্জ থানার এসআই তামবিরুল ইসলাম বলেন, ‘এলাকার এক তরুণ ধর্ষণের ভিডিও চিত্রের কথা পীরগঞ্জ থানাকে জানালে পুলিশ বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে কাশিপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মিয়ার ছেলে আবু রায়হান, আব্দুর রউফ মিয়ার ছেলে কামরুল হাসানকে আটক করে।

তবে ভিডিও ধারণকারী কাশিপুর গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে ফুলবাবুকে এখনো আটক করা যায়নি। ধর্ষণের ভিডিওটি উদ্ধার করা হয়েছে। পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সরেশ চন্দ্র জানান, ভিডিওটি বিভিন্ন মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় সব উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। 

স্কুলের মাঠেই সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ করতে উদ্যত হল এক শিক্ষক। এমনটাই ঘটল দক্ষিণ চীনের তাইপিং মিডল স্কুলে।

গোটা ঘটনাটি ধরা পড়েছে স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজে। চীনের সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে সিসিটিভি ফুটেজের সেই ভিডিও।

ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, আর পাঁচটি ছাত্রীর মতোই টিফিন টাইমে স্কুলের মাঠে খেলা করছিল একটি বাচ্চা মেয়ে। হঠাৎই নগ্ন হয়ে মাঠে ঢুকে পড়ে ৩০ বছর বসয়ি ওই শিক্ষক৷
তার পরই পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে ওই ছাত্রীটিকে। তাকে স্কুলের দেওয়ালের দিকে টেনে নিয়ে যায়। প্রকাশ্যে ধর্ষণের চেষ্টা করে সে।

গোটা ঘটনায় তখন হতভম্ব মাঠে উপস্থিত বাকি ছাত্রছাত্রীরা। ঘটনার আকস্মিকতা কাটিয়ে তারাই সেই শিক্ষকের হাত থেকে ওই ছাত্রীকে রক্ষা করে।

17.11.18

ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার আনন্দপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে এক গৃহবধু প্রেমিকার সঙ্গে পালিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগে থানায় মামলা দিয়েছে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা নানাভাবে হয়রানীর শিকার হয়। ঘটনার প্রায় ৪০ দিন পর চাঁদপুরের কচুয়া থেকে ‘গুম’ হওয়া বিবি মরিয়ম জান্নাতকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্র জানায়, ছাগলনাইয়া উপজেলার জয়নগর গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির মোশাররফ হোসেনের মেয়ে বিবি মরিয়ম জান্নাত (২০) এর সাথে ২০১৫ সালের ২৩ জুলাই ফুলগাজীর হাজী আবদুস সোবহানের ছেলে ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন মজুমদার রিপন বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। গত ৮ অক্টোবর ২২ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৬ লাখ টাকা নিয়ে আত্মগোপন করে মরিয়ম। তাকে হত্যার পর লাশ গুমের অভিযোগ এনে ১৭ অক্টোবর তার মা আসমা আক্তার বাদী হয়ে স্বামী ইসমাইল হোসেন মজুমদার রিপন, শশুর হাজী আবদুস সোবহান মজুমদার, শাশুড়ি সামছুন নাহার ও নিকটাত্মীয় মো: মহিউদ্দিন মজুমদার সোহাগের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় রিপনের বিরুদ্ধে ১৫ লাখ টাকা যৌতুকের অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় রিপন সহ অন্যরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিলেও পুলিশ সোহাগকে গ্রেফতার করে।
এদিকে মা আসমা আক্তারের মোবাইল ফোন ট্যাকিং করে চাঁদপুর জেলার কচুয়া এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ মরিয়মকে উদ্ধার করে। সেখানে তিনি প্রেমিকের সঙ্গে সংসার করছিলেন বলে পুলিশ জানায়। পুলিশের অভিযান টের পেয়ে ওই যুবক পালিয়ে যায়। আটক মরিয়ম জানায়, ওই যুবকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফুলগাজী থানার এসআই আনবিক চাকমা জানান, উদ্ধার হওয়া মরিয়মকে শনিবার আদালতে প্রেরণ করা হবে।

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে রাতের আধারে শিশু ধর্ষনের ঘটনায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়িতে ১ লক্ষ টাকা দফারফা। এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের মাদ্রাসা পাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদ প্রামানিকের পুত্র সাদ্দাম হোসেন (২৪) গত ৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকালে একই গ্রামের অটোচালক মাইদুল ইসলামের স্কুল পড়ুয়া আন্ধারীঝাড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণীর এক ছাত্রী(১০) কে বাড়িতে ডেকে নিয়ে মুখে গামছা বেঁধে ধর্ষন করে।

ধষিতা ঐ ছাত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতে এসে তার আত্মীয় স্বজনকে জানালে তারা থানায় মামলা করতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিলে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও তার স্বামী বিষয়টি সুষ্ঠ বিচারের আশ্বাস দিয়ে গত শুক্রবার রাতে ধর্ষকের পক্ষ নিয়ে ধর্ষিতার আত্মীয় স্বজনকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা দেয়ার কথা বলে তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।

ধর্ষিতার পিতা মাইদুল ইসলাম জানান,আমি কাজের জন্য বাইরে থাকায় আমি বাড়িতে ফেরার পুর্বেই এলাকার কিছু সংখ্যক কুচক্রী মহল ন্যায্য বিচার না করেই রাতের আধারে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা পারভীন ও তার স্বামী ডাঃ আব্দুল জলিলের মদদে ধর্ষককে বাঁচাতে এ কাজ করেছে।

আন্ধারীঝাড় ইউপি চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ খোকন জানান,মাদ্রাসা পাড়ায় ধষর্ণের বিষয়টি জেনেছি তবে কেহ আমার নিকট বিচারের জন্য আসেনি। এ বিষয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা পারভীনের স্বামী ডাঃ আব্দুল জলিলকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান,ধর্ষিতার পরিবার গরীব হওয়ার কারনে মামলা মোকদ্দমায় হয়রানীর শিকার এড়াতে আপোষ করে দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ কবিরের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান,ধর্ষনের ঘটনায় থানায় কেই মামলা করতে আসেনি তবে মামলা হলে ধর্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এলাকাবাসী জানায় ধর্ষণের ঘটনা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের আপোষ করার কোন বিধান না থাকা সত্বেও একজন ধর্ষিতার আইনগত বিচার না করে ধর্ষকের পক্ষ নিয়ে বিচার করায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। অনতি বিলম্বে ধর্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবী করেছে এলাকার সুধী মহল।

16.11.18


ঢাকার অদূরে সাভারের কলমা এলাকার এক কিশোরীকে (১৫) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ নিয়ে গণধর্ষণের পর যৌনপল্লীতে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হলে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অভিযান চালিয়ে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তার করে।

গণধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী জানায়, গত ২১ অক্টোবর ওই কিশোরীকে দক্ষিন কলমার এক বখাটে যুবক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ এলাকায় নিয়ে যায়। পরে সেখানে কয়েকজন ব্যক্তি মিলে তাকে গনধর্ষণ করে। পরে ওই কিশোরীকে বখাটেরা গোয়ালন্দ-দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেয়।

কিশোরীর পিতা সুজন মিয়া বলেন, গত ২৩ অক্টোবর আমার মেয়েকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর কোথাও না পেয়ে সাভার মডেল থানায় নিখোঁজের একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করি। তিনি আরও বলেন, কলমা এলাকার এক প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে মাঝে মাঝে ভিক্ষা করতে যেতেন। ওই ভিক্ষুক আমার নিখোঁজ কিশোরী মেয়েকে সেখানে দেখতে পেয়ে তার সন্ধান আমাদের জানায়। আমি ১০দিন পর আমার মেয়ের সন্ধান পাই দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে। পরে মেয়ের সন্ধান পেয়ে গত ৩ নভেম্বর রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ থানাধীন দৌলতদিয়া ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল গনি ও মুক্তি মহিলা সমিতির মাধ্যমে যৌনপল্লী থেকে আমার কিশোরী মায়েকে উদ্ধার করি।

এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা অর্পব দাস জানান, গত ১১ নভেম্বর ওই কিশোরীর পিতা সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) নির্দেশে গণধর্ষণের মামলা নথিভুক্ত করা হয়। মামলায় দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করা হয়েছে। গণধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ জানান, এই ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে ডিবি পুলিশের এসআই আব্দুল গনির নেতৃত্বে ডিবির টিম কাজ করে যাচ্ছে। ইতি মধ্যে কলমা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গণধর্ষণ মামলাটির প্রধান আসামী আহাম্মদ কে গ্রেপ্তার করে সাভার মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা।

15.11.18

গাইবান্ধা জেলার প্রত্যন্ত এক গ্রামের স্বল্পশিক্ষিত অত্যন্ত সৎ ড্রাইভার ছিলেন মফিজ। তাঁর শেষ জীবনের সঞ্চয় এবং বাবার দেয়া সামান্য জমি বিক্রয় করে ঢাকা রুটের একটা পুরাতন বাস ক্রয় করে ঢাকা- গাইবান্ধা রুটে বাসটি চালু করলেন। গরীব দরদী মফিজ সাহেব দিনমজুর লোকদের স্বল্প ভাড়ায় ঢাকা নিয়ে যেতেন। এক সময় বয়সের ভারে মফিজ সাহেব অন্য ড্রাইভার দিয়ে বাস চালনো শুরু করলেন। কিন্তু দিনমজুর শ্রেনীর লোকেরা ভাড়া সাশ্রয়ের জন্য তাঁর বাড়িতে ধর্না দেয়া শুরু করলো।

তাদের উপকারের জন্য সাদা কাগজে মফিজ লিখে সুপারভাইজারকে দিতে বলতেন এবং বাসের ছাদে নামমাত্র ভাড়ায় ঢাকা যাতায়াতের সুবিধা করে দেয়ার ব্যবস্হা করতেন। বাসের সুপারভাইজার মফিজ স্বাক্ষরযুক্ত কাগজ সংগ্রহ করে কম ভাড়া আদায় করতেন। তাই বাসের ছাদে উচ্চস্বরে সুপার ভাইজার বলতেন কয়জন মফিজ আছো ছাদে? অথাৎ কয়টা মফিজের স্লিপ আছে? আর এ ভাবে গরীবের উপকারী বন্ধু মফিজ শব্দটি চালু হয়। আজ আমরা ঠাট্রাকরে অনেকে ‘মফিজ’ শব্দটি উচ্চারণ করি। কিন্তু বুকে হাত দিয়ে বলেন ‘মফিজ’ হওয়ার যোগ্যতা কি আপনার আমার আছে??? . এখন আসুন মুল কথায়ঃ ব্যাকডেটেট পিছিয়ে থাকা জনগন ভাইভা বোর্ডে নব্বই ডিগ্রী এ্যাংগেলে ভ্রু-কুঁচকে বলা হয়,”ও…!
তোমার বাড়ি উত্তর- বঙ্গে। “তারপর রেজাল্ট যা হবার তাই হয়। একটা কমন চিত্র। ব্যাপারটা কি সত্যি এরকম? আসলেই কি এরা ব্যাকডেটেট? যাদের মানসিকতা এমন তারা কি আপডেটেড? আজকের প্রভাবশালি জনপ্রিয় লেখক আনিসুল হক কোথাকার? সৈয়দ শামসুল হক কোথাকার? কবি শেখ ফজলল করিম কোথাকার ছিলেন? ফকির মজনু শাহ? আব্বাস উদ্দীন? তেভাগা আন্দোলনের সফল নায়ক হাজী দানেশের বাড়ি কোন বঙ্গে ছিল? প্রফুল্ল চক্রবর্তী আর ক্ষুদিরাম বসু জানেন কোথাকার ছিল? . যে মেয়ে ম্যাডামটা আজকে ভাইভাতে বসে উত্তরবঙ্গকে ব্যাকডেটেট বলে,সে হয়তো ভুলে গেছে মেয়ে মানুষদের পড়াশুনার ইতিহাস? উত্তরবঙ্গের বেগম রোকেয়া না থাকলে আজ কি হতো? তানিয়া আমিররা আইনজীবী হতে পারতো না বিমানের পাইলট হতে পারতো না কানিজ ফাতেমারা ওয়াসফিয়ার হিমালয় জয় করা লাগতনা।
চুলায় আগুন দিতে দিতে জীবন শেষ করতে হতো। মৌর্য সেনদের রাজধানী কোথায় ছিল? ঢাকা তো দু- চার’শ বছর আগে রাজধানী হল। ঢাকা অনেক জুনিয়র সিনিয়র রাজধানী তো মহাস্থানগড়!! . নয় বছর দেশ চালানো এরশাদ সাহেব কোথাকার? শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কোন বঙ্গের? বগুড়ার ম্যাডাম খালেদা জিয়ার জন্ম দিনাজপুর | দেশের সংকট সময়ে সাহসী সেনাবাহিনীর প্রধানরা কোন বঙ্গের ছিল? বিখ্যাত সাংবাদিক থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে যাওয়া মশিউর রহমান যাকে আমরা জাদু মিয়া নামে চিনি তার বাড়িটাও উত্তরবঙ্গের রংপুরে। কিংকর্তব্যবিমূঢ!! বাংলাদেশের বিপদকালীন সময়ে হাল ধরা রাষ্ট্রপতিরা আর সেনাপ্রধানরা কোন বঙ্গের? একবার বাংলা একাডেমিতে আঞ্চলিক বিতর্ক হচ্ছে| এই বিতর্ক নিজের অঞ্চলের ভাষায় করতে হয়।

একটু মজাও করতে হয়। রংপুরের পক্ষে বিতর্কের যে অংশটুকু চ্যানেল আই-এ দেখানো হল সেটি ছিল সংক্ষেপে এরকম “হামার দ্যাশের জনক বঙ্গবন্ধুর ছাওয়া শেখ হাসিনা। বিয়ার জন্যে পাত্র খুজিবার নাগচে। কোনোটে ভালো পাত্র পায় নাই। শ্যাষে সবারচাইতে ভালো পাত্র কোটে পাইচে কন তো বাহে? হামারঅমপুরে!!” . বাদ দেন সারা দেশে শতসহস্র ছেলে থাকতে বঙ্গবন্ধু ওনার মেয়েকে উত্তরবঙ্গের ছেলের সাথে বিয়ে দিল কেন? কারন বঙ্গবন্ধু জানতেন ওয়াজেদ জিনিয়াস, হু ইজ রিয়েলি স্মার্ট!!” দেশ চালায় কোন বঙ্গের মানুষ? কোন বঙ্গের পুত্রবধু? সাবধান| মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, জাতীয় চার নেতার এক নেতা ক্যাপ্টেন মনসুর , জেনারেল জ়ে.এন.চৌধুরী (সাবেক ভারতীয় সেনাপ্রধান),সাবেক বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল(অবঃ) এ.কে. খন্দকার, স্যামসন এইচ চৌধুরী। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ঔষধ প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠান স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লি: এর প্রতিষ্ঠাতা।সঙ্গীতশিল্পী তপন মাহমুদ, বাপ্পী লাহিড়ী,ডলি সায়ন্ত্বনী, বাদশা বুলবুল ,খ্যাতিমান উপস্থাপক ফজলে লোহানী,বাংলা গদ্যরীতির সার্থক রূপকার সাহিত্যিক প্রমথ চৌধুরী ,কবি বন্দে আলী মিয়া, জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা সুচিত্রা সেন,টিভি ব্যক্তিত্ব চঞ্চল চৌধুরি, জাহিদ হাসান, তৌকির আহমেদ, নায়ক আলি রাজ, বৃন্দাবন দাস সহ অনেকে। স্বপ্নাতুর কবি সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী, ডক্তর আবদুল্লাহ আল মুতী শরফুদ্দিন, মাওলানা খোন্দকার আব্দুর রশীদ তর্কবাগীশ, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, যাদব চন্দ্র চক্রবর্তী , রজনী কান্ত সেন, ফতেহ লোহানী, কন্ঠ শিল্পি কনকচাঁপা, মুসা ইব্রাহীম একজন বাংলাদেশী পর্বতারোহী এবংসাংবাদিক, যিনি প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন। সাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়মুহাম্মদ নাসিম এরা সকলেই উত্তরবঙ্গের সন্তান ।
ভুলে যাবেননা সামনে সজীব ওয়াজেদ জয় একজন রংপুর সন্তান। হাসের মত প্যাকপ্যাক করে ভাইভা বোর্ডে উত্তরবঙ্গের মফিজ বলে সবাইকে তাড়িয়ে দিলে প্রেসিডেন্ট জিয়া, জেনারেল এরশাদ, খালেদা জিয়া, আনিসুল হক দের পেত না এই বাংলাদেশ। ভারত সহ বিশ্বে ১৫০ টির বেশি দেশে পন্য রপ্তানি করে সারা বিশ্বে দেশের সুনাম আনছে প্রান আর এফ এল গ্রুপ,দু:খিত ভাই এটাও উত্তরবঙ্গের,সারাবিশ্বে ফ্যাশন দুনিয়ার রানি বলে সমাদৃত বিবি রাসেল,এই মানুষ টার বাড়ি রংপুর। অশংখ্য রহিমুদ্দি, করিমুদ্দি ভরসা কিংবা আমজাদ খান চৌধুরি পুরা উত্তরবঙ্গ জুড়ে। মেধার অভাব উত্তরবঙ্গে নেই কিছু কিছু চেয়ারে বসা বিচারকের “সুস্থ মানষিকতার” অভাব আছে। . কথিত মহান ব্যাক্তিরা উত্তর-বঙ্গ বলে যখন কাউকে পাঠিয়ে দিলেন তারা হয়তো তখন ভাসানী, ক্যাপ্টেন মনসুর একজন আনিসুল হক কে কিংবা ভবিষ্যত কোন রাষ্ট্রপতিকে হারিয়ে ফেললেন। সাথে সাথে এক ধাপ পিছিয়ে গেল বাংলাদেশ। আমি একটা কথা সবসময় বলি, ”মনে রাখবেন রাষ্ট্র শাসনের নবাবীত্ব উত্তরবঙ্গ থেকেই এসেছে।তাই উত্তরবঙ্গের মানুষকে মফিজ বলার আগে এই কথাগুলো একবার ভেবে দেখবেন।


;;
Free Website templateswww.seodesign.usFree Flash TemplatesRiad In FezFree joomla templatesAgence Web MarocMusic Videos OnlineFree Wordpress Themeswww.freethemes4all.comFree Blog TemplatesLast NewsFree CMS TemplatesFree CSS TemplatesSoccer Videos OnlineFree Wordpress ThemesFree CSS Templates Dreamweaver